Posts

Showing posts with the label bengali

এমন ভেঙে চুরে ভালো কেউ বাসেনি

 এমন ভেঙে চুরে ভালো কেউ বাসেনি কী হচ্ছে আমার এসব! যেন তুমি ছাড়া জগতে কোনও মানুষ নেই, কোনও কবি নেই, কোনও পুরুষ নেই, কোনও প্রেমিক নেই, কোনও হৃদয় নেই! আমার বুঝি খুব মন বসছে তোমাতে? বুঝি মন বসছে লেখায় পড়ায়? আমার বুঝি ইচ্ছে হচ্ছে হাজারটা পড়ে থাকা কাজগুলোর দিকে তাকাতে? অনেক হয়েছে ওসব, এবার অন্য কিছু হোক, অন্য কিছুতে মন পড়ে থাক, অন্য কিছু অমল আনন্দ দিক। মন নিয়েই যত ঝামেলা আসলে, মন কোনও একটা জায়গায় পড়ে রইলো তো পড়েই রইল। মনটাকে নিয়ে অন্য কোথাও বসন্তের রঙের মত যে ছিটিয়ে দেব, তা হয় না। সবারই হয়ত সবকিছু হয় না, আমার যা হয় না তা হয় না। তুমি কাল জাগালে, গভীর রাত্তিরে ঘুম থেকে তুলে প্রেমের কথা শোনালে, মনে হয়েছিল যেন স্বপ্ন দেখছি স্বপ্নই তো, এ তো একরকম স্বপ্নই, আমাকে কেউ এমন করে ভালোবাসার কথা বলেনি আগে, ঘুমের মেয়েকে এভাবে জাগিয়ে কেউ চুমু খেতে চায়নি আমাকে এত আশ্চর্য সুন্দর শব্দগুচ্ছ কেউ শোনায়নি কোনওদিন এত প্রেম কেউ দেয়নি, এমন ভেঙে চুরে ভালো কেউ বাসেনি। তুমি এত প্রেমিক কী করে হলে! কী করে এত বড় প্রেমিক হলে তুমি? এত প্রেম কেন জানো? শেখালো কে? যে রকম প্রেম পাওয়ার জন্য সারাজীবন অপেক্ষা করেছি, স্বপ্ন...

এক অপ্রেমিকের জন্য

 এক অপ্রেমিকের জন্য এই শহরেই তুমি বাস করবে, কাজে অকাজে দৌড়োবে এদিক ওদিক কোথাও আড্ডা দেবে অবসরে, মদ খাবে, তুমুল হৈ চৈ করবে, রাত ঘুমিয়ে যাবে, তুমি ঘুমোবে না। ফাঁক পেলে কোনও কোনও সন্ধেয় এ বাড়ি ও বাড়ি খেতে যাবে, খেলতে যাবে, কে জানে হয়তো খুলতেই যাবে আলগোছে কারও শাড়ি আমার আঙিনা পেরিয়েই কোনও বাড়িতেই হয়তো। এ পাড়াতেই হয়তো দু’বেলা হাঁটাহাঁটি করবে, হাতের নাগালেই থাকবে, হয়তো কখনও জানিয়েও দেবে আমাকে, যে, কাছেই আছো, কুঁকড়ে যেতে থাকবো, কুচি কুচি করে নিজেকে কাটতে থাকবো দেখা না হওয়ার যণ্ত্রণায়, তবু বলবো না, এসো। বলবো না, তোমাকে সুযোগ দেব না বলার যে তোমার সময় নেই, বা ভীষণ ব্যস্ত তুমি ইদানিং তোমার অপ্রেম থেকে নিজেকে বাঁচাবো আমি। তোমার সঙ্গে আমার দেখা হবে না। বছর পেরোবে, তোমার সঙ্গে দেখা হবে না আমার, দেখা না হতে না হতে ভুলতে থাকবো তোমার সঙ্গে দেখা হওয়াটা ঠিক কেমন ছিল কী রঙের সার্ট পরতে তুমি, হাসলে তোমাকে ঠিক কেমন দেখাতো, কথা বলার সময় নখ খুঁটতে, চোখের দিকে নাকি অন্য কোথাও তাকাতে, পা নাড়তে, ঘন ঘন চেয়ার ছেড়ে উঠতে, জল খেতে কিনা, ভুলতে থাকবো। দেখা না হতে না হতে ভুলতে থাকবো তুমি ...

"Forgiveness forgives the forgivable."

 "Forgiveness forgives the forgivable."  ক্ষমা করতে পারা এক বিশাল বড় গুণ, হয়ত সব থেকে বড় গুণ। কিন্তু আদতে কি সবাই ক্ষমা করতে পারে? আর পারলেও তা কতটা মন থেকে?  সব পুরোনো ক্ষত এক দ্রুত ট্রেনের মতো মনের ভিতর পেরিয়ে গেলো, চোখের সামনে সব কিছু স্পষ্ট হয়ে উঠল। যে সমস্ত গল্পের পাতা এতকাল এতদিন বন্ধ ছিল, তার প্রত্যেকটা অক্ষর আবার চোখের সামনে জ্বলজ্বল করছে, পুড়ে যাওয়া সিগারেটের সামনের অংশটুকুর মতো। হয়ত সবার এমনি অনেক গল্প থাকে। কষ্টের নিরিখে সবার কাছে নিজের গল্পই সেরা। এতেও সবার মধ্যে এক অদ্ভূত প্রতিযোগিতা থাকে, কার গল্পে কষ্ট বেশি। তবে মনে হয় ,যে গল্পে চোখ ভিজে যায়, তা মনে না করাই ভালো। এতদিন এ পাতাগুলো বন্ধই ছিল, চরিত্রগুলোও এখন আর দাগ কাটে না মনে, কেমন যেন ঝাপসা হয়ে গেছে সব। বয়স বাড়তে বাড়তে গল্পের চরিত্র বেড়েছে, জানি আরো বয়স হলে এসব গল্প বই করে বের করা যাবে। জীবনের বৃত্ত বয়সের সাথে সাথেই বাড়তে থেকেছে। ভিড় বেড়েছে, শুধু মানুষের সংখ্যা কম। আবার সময় ফুরিয়েছে- নতুন গল্প, নতুন চরিত্র সব।  এত ভিড়েও কেউ কাউকে সহজে কেন্দ্র করতে পারেনি। আসলে  একসঙ্গে থাকলেই তো ভালোবাসা হয় না। কি...

নাম

Image
তুমি বা আমি একই পথের পথযাত্রী, পায়ে পায়ে হেঁটে আমাদের এই পথ চলা, কিন্তু এই পথ চলা কি কারনে বা কেন এই একই পথে চলা তার কোনো বৈজ্ঞানিক  ব্যাখ্যা নেই, পথ চলার কোনো নাম নেই। নাম দিয়ে হয়তো সীমাবদ্ধ হতে পারেনা এটা। যেমন ঘুটঘুটে অন্ধকারে রাস্তাতে একটা নিয়নবাতি জ্বলে আর সেটার যেমন সঠিক নাম দেওয়া যায়না, ঠিক তেমন... অন্ধকার রাস্তার ওই ছোট্ট আলোটা যেমন অনেক ছবি তৈরি করে; যেমন কখনো মনে হয় পাখি উড়ে যাচ্ছে আবার কখন সাপ চলে যাচ্ছে বা আমার কখনো মনে হয় একটা নদী বয়ে চলেছে কখনো বা মনে হয় দুটো পাখি ঠোঁট এঁঠো করে চুমু খাচ্ছে, কিন্তু এগুলো তো নামহীন, আর আমরা চাইলেও নাম দিয়ে তা বন্দি করতে পারিনা। কিন্তু আমরা এই পথ চলা টা কে একটা সম্পর্ক বলতে পারি। অতঃপর মোদ্দাকথা হলো ভালোবাসি, এই সম্পর্ক টা ভালোবাসি। ভালোবাসি-ভালোবেসো...                                                                           ------...